উত্তরা আমির কমপ্লেক্স বণিক কল্যাণ সমিতির ২ গ্রুপের দন্ধে অপপ্রচারে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, দ্রুত নির্বাচন চাই ব্যবসায়ীরা

উত্তরা আমির কমপ্লেক্স বণিক কল্যাণ সমিতির ২ গ্রুপের দন্ধে অপপ্রচারে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, দ্রুত নির্বাচন চাই ব্যবসায়ীরা
নাজমুল ইসলাম মন্ডল (উত্তরা) ঢাকা ঃ
উত্তরা আজমপুর আমির কমপ্লেক্স বণিক কল্যাণ সমিতির ২ গ্রুপের দন্ধের কারণে ব্যবসায়ীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের দাবি ব্যবসায়ীদের।
স্থানীয় দোকানদাররা বলছেন উত্তরা আমির কমপ্লেক্স বণিক কল্যাণ সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও তাদের এসব নোংরামির কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে দ্বিবার্ষিক নির্বাচন। এক গ্রুপ আরেক গ্রুপকে গায়েল করতে আওয়ামী লীগের দোসর বানিয়ে ফায়দা লুটে নিতে চায়। ফায়দা নিতে দুই পক্ষই একে অন্যের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি পর্যন্ত করেছে। মার্কেটের কমিটি দখল নিয়ে এহেন কর্মে তুমুল উত্তেজনা বিরাজ করছে দুই গ্রুপের মধ্যে। এ সব ঘটনায় সাধারণ দোকানদারদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ দোকানদাররা বলছে তারা খুব দ্রুত শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায়। একাধিক সুত্রে জানা যায়, অপরদিকে নিজেদের মনগড়া বানানো আহ্বায়ক কমিটি কিরণ গ্রুপের সদস্যরা নির্বাচনে যেতে রাজি নয় বলে এমন অভিযোগ উঠেছে।
অনুসন্ধানে জানা যায় আওয়ামী লীগের আমলে প্রচন্ড দাপুটে সাবেক সভাপতি আব্দুস সোবহান এর বানানো আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম-সদস্য সচিব তোসাদ্দেক আহম্মেদ খান কিরণ চলেবলে কৌশলে নিজ কব্জায় নিতে চায় আমির কমপ্লেক্স বণিক কল্যাণ সমিতি। অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, উত্তরা আজমপুর আমির কমপ্লেক্স বণিক কল্যাণ সমিতিতে এখনো চলছে ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর সাবেক সভাপতি আব্দুস সোবহান ও কিরণের রাজত্ব। তারা নানান কূটকৌশলে নিজ মার্কেটের দোকানদারের হেনস্তা করছে। তাদের এহেন ঘৃনিত কাজের প্রতিবাদ জানিয়ে
গত ২৫/০২/২০২৫ইং তারিখ ভক্তভুগি মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান সুজন বিবাদী তোসাদ্দেক আহম্মেদ খান কিরন ও অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন,যাহার নং ২৮৯০। অপরদিকে একটি কুচক্রী মহল মার্কেটের ম্যানেজার আবু জাফরকে দিয়ে ওয়াহিদুজ্জামান সুজনের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় জিডি করানো হয়, যাহার নং-২৯৬২। দুই পক্ষের থানায় জিডি, মার্কেটের দেয়ালে দেয়ালে পোস্টার এ সব নোংরামির কারণে আমির কমপ্লেক্স বণিক কল্যাণ সমিতির নেতৃবৃন্দ, দোকানের মালিক ও সমিতির সদস্যদের মাঝে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।এসব অপপ্রচারের নিদ্রা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সাধারণ ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় দোকানদারগণ বলছে মূলত ২০২৪ সালে মার্কেট উন্নয়ন কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পরই এ সংকটে দেখা দেয়। কারণ জানতে চাইলে তারা বলেন, ঐ সময় মার্কেট উন্নয়ন কমিটির সভাপতির দায়িত্বে ছিল ফ্যাসিস আওয়ামী লীগের দোসর সাবেক এমপি হাবিব হাসান ও খসরু চৌধুরীর আস্থাভাজন গোপালগঞ্জের হাজী আব্দুস সোবহান।
তার নামে রয়েছে উত্তরা পশ্চিম থানায় গণহত্যা মামলা। জানা যায়, আব্দুস সোবহান এতোটাই ভয়ংকর, ক্ষমতাশালী ও লোভী ছিলো ২০২৪ সালে আমির কমপ্লেক্স বণিক কল্যাণ সমিতির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও সে মার্কেটে তার প্রভাব ধরে রাখতে নিজ সমর্থীত বাহিনী দিয়ে ৯ সদস্যদের একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে। সেখানে রয়েছে তার খাসলোক তোসাদ্দক আহম্মেদ খান কিরন তিনি যুগ্ম-সদস্য সচিব। তার বানোয়াট আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব মাওলানা হাবিবুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি ইনকিলাবকে বলেন,এধরণের কমিটিতে তিনি কখনো থাকতে রাজি নয়। সেখানে তিনি নেই। তার সাথে আলোচনা না করেই উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে কমিটিতে তার নাম দিয়েছে তারা। এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন নিরীহ দোকানদার বলেন, মুলত চতূর আলহাজ্ব আব্দুস সোবহান তার ডান হাত কিরণকে দিয়েই সমস্ত কলকাঠি নাঁড়া চাড়া করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কেটের অন্যান্য দোকানদারদের সাথে আলাপ করে জানা যায় শান্তি পূর্ণ এ মার্কেটে ইন্দন দিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে সোবহান ও কিরণ। কিরণ আওয়ামী লীগের আমলে মার্কেটের সাবেক সভাপতি গণহত্যা মামলার আসামি আব্দুস সোবহান এর সাথে আঁতাত করে বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত ছিলো। এ বিষয়ে আমির কমপ্লেক্স মার্কেটের দোকান মালিক, দোকানদারসহ একাধিক সুত্র জানায়, গোপালগঞ্জের এই সোবহান ও কিরণ সরকারি চাকুরিতে কোটা সংস্কার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর উত্তরা আজমপুর এলাকায় হামলা চালায়। এতে মীর মুগ্ধসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী শহীদ হয়। সে সময় আব্দুস সোবহান ও কিরণের নেতৃত্বে আজমপুর আমির কমপ্লেক্স এলাকায় রণক্ষেত্র সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে ঔ সময় বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার সংবাদ প্রকাশ হয়। এঘটনায় আব্দুস সোবহানের নামে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি হত্যা মামলা হয়। সেখানে সে ৩৬ নং এজাহার ভুক্ত আসামি। উত্তরা আমির কমপ্লেক্স বণিক কল্যাণ সমিতির দুই গ্রুপের দন্ধ ও নির্বাচন বিষয়ে জানতে ভবনের পরিচালক এডমিন নুরুল ইসলাম বলেন, বণিক কল্যাণ সমিতি বিষয়ে তারা কখনো হস্তক্ষেপ করেন না। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন,কমিটির সদস্যরা কথা শোনে না। কথা বলতে চাইলে এক পক্ষ মনে করে আরেক পক্ষের লোক হয়ে কথা বলছি। তবে তিনি আরো বলেন দ্বন্দ্ব মিঠাতে তারা একাধিক বার চেষ্টা করেছেন দুই পক্ষকে ডেকেছেন এক টেবিলে বসে দ্বন্দ্ব মিটিয়ে নির্বাচন দিতে ।
ঔ সময় এক পক্ষ আসলেও আরেক পক্ষ আসেনা। কোন পক্ষ আসে আর কোন পক্ষ আসেনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওয়াহিদুজ্জামান সুজন এর পক্ষের লোকজন আসে, তবে কিরণের পক্ষের লোকজন আসে না। নুরুল ইসলাম আরো বলেন, আমরাও চাই দুইপক্ষ বসে সকলের সম্মতি ক্রমে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন দেওয়া হউক। নির্বাচন শেষে ব্যবসায়ীরা শান্তিপূর্ণভাবে ব্যবসা করুক। আহ্বায়ক কমিটির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমির কমপ্লেক্স বণিক কল্যাণ সমিতির গণতন্ত্রে কোথাও আহ্বায়ক কমিটি করার বিষয়ে নির্দেশনা নেই। কি করে সাবেক সভাপতি আহ্বায়ক কমিটি করেন আমাদের বোধগম্য নয়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গোলাম মাওলা ও তোসাদ্দেক আহম্মেদ খান কিরণ নাকি ভবন মালিককে তাদের করা আহ্বায়ক কমিটিতে সই করে বৈধতা দিতে অনুরোধ জানায়। আমির কমপ্লেক্স বণিক কল্যাণ সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচনের সাবেক নির্বাচন কমিশন সদস্য বকুল হোসেন ভূইয়া বলেন বণিক কল্যাণ সমিতির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পর এই মার্কেটে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এখানে দেখা যায় মেয়াদউত্তীর্ণ সাবেক কমিটির সভাপতি নিজের ক্ষমতাবলে মন মতো একটা আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেছেন।
অপরদিকে মার্কেটের নিচতলা থেকে চার তলার অবস্থিত দোকানদাররা মিলিত হয়ে আলোচনার মাধ্যমে গত ১৭/০১/২০২৫ ইং তারিখ ওয়াহিদুজ্জামান সুজনকে সভাপতি ও মোঃ সুলতান আহমদকে সাধারণ সম্পাদক করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়। বর্তমানে মার্কেটে দুইটি কমিটি থাকায় কেউ কাউকে মানছে না। নিয়ম বহির্ভূত এ সব কমিটির হট্টগোলের কারণে মার্কেটের দোকানদাররা ঠিকমতো ব্যবসা করতে পারছে না। এসব সংকট নিরসনে ভবন মালিকের ভুমিকা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভবন মালিক চাইলে দুই পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করে এই সংকট সহজেই শেষ করতে পারে। ওনারা চুপচাপ বসে আছে কোন ঝামেলা নিতে চায় না, তিনি আছেন নিজের ব্যবসা নিয়ে, কোন ব্যবসায়ী বাঁচলো- মরলো সে বিষয়ে তাদের কোন হেডেক নেই। অপরদিকে মাস শেষে ভাড়া না দিলে বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করে দেয়, ভাড়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে দোকানে তালা মেরে দেয়, অথচ ব্যবসায়ীদের বিপদে তাদের পাওয়া যায় না।
এ বিষয়ে তারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। এ সময় তিনি আরো বলেন, এ সব কমিটি নিয়ে সামনে ধীরে ধীরে আরো জটিলতা বাড়তে পারে,ঘটতে পারে মারামারিসহ বড় ধরনের দূর্ঘটনা। এ সমস্যা সমাধানের পথ হিসেবে একমাত্র দ্রুত নির্বাচন দেয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি। এ বিষয়ে উত্তরা আমির কমপ্লেক্স বণিক কল্যাণ সমিতির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুস সোবহান বলেন,আমাদের কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আমরা সকলকে নিয়ে সাধারণ সভা করে আহ্বায়ক কমিটি করতে চেয়েছিলাম,অপর গ্রুপের লোকজন না আসায় আমরা যতটুকু সম্ভব ৯ সদস্য কমিটি বিশিষ্ট একটা আহবায়ক কমিটি গঠন করি। তিনি আরো বলেন,আমরা সকলেই চাই সম্মিলিত ভাবে ব্যবসায়ীদের নিয়ে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে একটি সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচন। যারাই নির্বাচিত হয়ে আসবেন তারাই মার্কেট চালাবেন। আহ্বায়ক কমিটি বানানোর ব্যাপারে তিনও বলেন কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর তিনি সাধারণ সভার মাধ্যমে ওই কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে ব্যবসায়ীদের স্বার্থে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেছেন। নির্বাচনে দেরি কেন এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন নির্বাচন দেওয়া ও নির্বাচন কমিশন গঠন মূল উদ্দেশ্য নায়, আমাদের উদ্দেশ্য ব্যবসা করা। এখন ব্যাবসা করার সময়। তবে রমজানের পর আলোচনা করে নির্বাচন দেওয়া হবে। আবু জাফরকে দিয়ে ওয়াহিদুজ্জামান সুজনের বিরুদ্ধে জিডি করানোর বিষয়ে তিনি বলেন, আমি তাকে দিয়ে জিডি করাবে কেন? জিডি করতে চাইলে আমি নিজেও তো করতে পারি। অপরপক্ষের সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান সুজনের বিরুদ্ধে পোস্টারিং করার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন এগুলো বানোয়াট কথাবার্তা। এ ধরনের নেককার জনক ঘটনার সাথে তিনি জড়িত নন, প্রমাণ পেলে যেকোনো শাস্তি মাথা পেতে নিবে। তার বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর গুলি করে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকা এবং গণহত্যার মামলার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীক দ্বন্দ্বের কারণে মামলায় তার নাম দেয়া হয়েছে, তিনি কোন রাজনীতি করেন না।
হয়রানি করার জন্য তাকে হত্যা মামলার আসামি করা হয়েছে। আহ্বায়ক কমিটি ও নির্বাচন বিষয়ে জানতে চাইলে, তাসাদ্দেক হোসেন খান কিরণ বলেন, তারাও নির্বাচন চান। আহবায়ক কমিটি কোন ক্ষমতা বলে, কি আদলে কি ভাবে হলো এ বিষয়ে কিরণ বলেন গণতন্ত্রের পয়েন্ট অফ অর্ডারে ২২/ক ধারায় সভার সভাপতি চাইলে যে কোন সিদ্ধান্ত এককভাবে নিতে পারেন। সভাপতি যে সিদ্ধান্ত দিবেন, যেকোনো সিদ্ধান্ত দিবেন সেটাই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত। সে ভাবেই আহ্বসয়ক কমিটি করা হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দুই পক্ষের রেষারেষিতে সুযোগ নিচ্ছে ৩য় পক্ষ। অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, ব্যবসায়ী ওয়াহিদুজ্জামান সুজনকে কোনঠাসা করে উত্তরা আমির কমপ্লেক্স বণিক কল্যাণ সমিতি দখলের চেষ্টা ও তাদের উদ্দেশ্য হাসিল করতে মার্কেট কর্তৃপক্ষের লোকজন জোরপূর্বক ম্যানেজার আবু জাফরকে দিয়ে গত ২৬/০২/২০২৫ ইং তারিখ উত্তরা পশ্চিম থানায় একটা জিডি করান,যাহার নং-২৯৬২। জিডি বিষয়ে জানতে চাইলে ম্যানেজার মোঃ আবু জাফর বলেন,মার্কেটের বাইরে পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে গত ২৫/০২/২০২৫ ইং তারিখ ওয়াহিদুজ্জামান সুজন সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখতে মার্কেটের অফিসে আসেন। তখন তিনি তাকে ২/৩ জন লোক ছাড়া বাকীদের নিয়ে চলে যেতে বলেন। এ বিষয়ে কথা কাটাকাটি হলেও সেখানে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা হয় নি। ঐ দিন মালিক পক্ষ এসে তাকে থানায় জিডি করতে বলা হলে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন। এক পর্যায়ে মালিকপক্ষের এক ব্যক্তি চাপ সৃষ্টি করে তাকে উত্তরা পশ্চিম থানায় নিয়ে যান। এ সময় তিনি বলেন প্রথম দিন তিনি কোম্পানির প্যাডে জিডি লিখে নিয়ে যান, থানা যাওয়ার পর ডিউটি অফিসার বলেন কম্পানীর প্যাডের উপর লেখা জিডি হবে না, হাতের লিখে অথবা কম্পিউটারে লিখে জিডি করতে হবে। তারপর তিনি সেখান থেকে চলে আসেন পরের দিন তিনি আর থানায় না গেলেও জানতে পারেন তার নামে ওয়াহিদুজ্জামান সুজনের বিরুদ্ধে একটি জিডি করা হয়েছে। তিনি প্রতিবেদককে আরো বলেন তার নামের নিছে জিডিতে যে মোবাইল নাম্বারটি রয়েছে সে নাম্বারটিও তার নয়। এছাড়াও জিডিতে ঘটনার উল্লেখ করে যা লেখা হয়েছে সে বিষয়ে তিনি কোন বক্তব্য দেননি। আমির কমপ্লেক্স ভবন ম্যানেজার মোঃ আবু জাফর আরও বলেন জিডিতে যে সমস্ত কথা লেখা আছে এ বিষয়ে তিনি কিছুই অবগত নন। তার সাথে সম্পর্কের অবনতি ঘটাতেই ইচ্ছে করে কোম্পানির প্রশাসনিক কর্মকর্তা ব্যাক্তিগত স্বার্থে তাকে চাপ সৃষ্টি করে জিডি করাতে থানায় নিয়ে যান। এ সব অনাকাঙ্খিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমির কমপ্লেক্স ভবনের ব্যবসায়ীদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। তারা এর সুষ্ঠু প্রতিকার চায়। ব্যবসায়ী ওয়াহিদুজ্জামান সুজনের বিরুদ্ধে করা জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার এস আই, জিন্নাতুল ইসলাম তালুকদার বলেন, জিডির কপি হাতে পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে জিডির বাদি মোঃ আবু জাফরের সাথে কথা বলে ঘটনা তদন্তের অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে আমির কমপ্লেক্সের কয়েকজন দোকানদারের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা বলেন, এখানে কাঁদা ছোঁড়া- ছুড়ি চলছে, একমাত্র নির্বাচনের মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান হতে পারে। তাই দ্রুত নির্বাচন দেয়া উচিত। আমির কমপ্লেক্স বণিক কল্যাণ সমিতির সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইমরান চৌধুরী বলে আমরা দোকানদারদের সাথে কথা বলে কয়েক মাস যাবত চেষ্টা করছি, কিন্তুু এক পক্ষ এগিয়ে আসলে আরেক পক্ষ আসেনা। তিনি আরো বলেন, ব্যবসায়ীরা সবাই চায় নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হউক। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা আরো বলেন, মার্কেটের বিশৃঙ্খলা এড়াতে দুপক্ষের সাথে কথা বলতে ভবন মালিককে এগিয়ে আসতে হবে। ব্যবসায়িক কল্যাণ সমিতির বিরোধ মিটাতে দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি ও উত্তপ্ত পরিবেশ শান্ত করতে মার্কেট কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসার বিকল্প নেই।